শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিরাপদ ও কার্যকর: ইএমএ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাকে নিরাপদ ও কার্যকর বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ)। ইউরোপের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির মতে, এই টিকা নিরাপদ। এই টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার কোনো সম্পর্ক নেই। তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছে ইএমএ।

সংবাদ সম্মেলনে ইএমএর নির্বাহী পরিচালক ইমার কুক বলেন, ‘আমাদের তদন্ত বলছে, এই টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। পাশাপাশি করোনায় অসুস্থতা ও মৃত্যুঝুঁকি কমাতে এটি যথেষ্ট উপযোগী।’

ইমার কুক আরও বলেন, ‘তদন্তে রক্ত জমাট বাঁধার সঙ্গে এই টিকার সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। তবে যেসব টিকা গ্রহীতার রক্ত জমাট বাঁধার অভিজ্ঞতা হয়েছে, আমাদের তদন্ত দলের সদস্যরা বলছেন- এটা এক ধরনের বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।’

কী কারণে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিল, তা তদন্ত করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ইমার কুক। পাশাপাশি টিকার ডোজের অ্যাম্পুল ও প্যাকেটে এই টিকার উৎপাদন সংক্রান্ত তথ্য অন্তর্ভূক্ত করতেও অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

‘মনে করা যাক, আমি আগামীকাল টিকা নেব। সেক্ষেত্রে আমি নিশ্চিতভাবেই জানতে চাইব, টিকা নেওয়ার পর আমার দেহে কী কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এই বিষয়টিই তদন্ত করবে ইএমএ। আর টিকার ডোজের সঙ্গে এর উৎপাদন সংক্রান্ত তথ্য সংযুক্ত করে দিলে তা জনসচেতনতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখবে।’

ইউরোপে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নেওয়ার পর কয়েকজন টিকা গ্রহীতার দেহে রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ দেখা দেয়। ইইউভুক্ত দেশ এবং যুক্তরাজ্যের এক কোটি ৭০ লাখ মানুষকে এই টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ৪০ জন টিকা গ্রহীতার এই অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে জানাচ্ছে পরিসংখ্যান।

এ ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর ২৩টি দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ব্যবহার স্থগিত করে। থাইল্যান্ড, ডিআর কঙ্গো ইত্যাদি কয়েকটি দেশ ব্যতীত এই তালিকায় থাকা অন্যান্য দেশগুলো ইউরোপের।

সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৩ প্রভাবশালী দেশ ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালি বলেছিল, টিকাটির প্রয়োগ ফের শুরু হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তারা ইএমএর পর্যালোচনার ফলের জন্য অপেক্ষা করবে। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার পর্যালোচনা প্রকাশ করল ইএমএ।

এদিকে ইএমএর পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আসার পর ইতালি সরকারিভাবে জানিয়েছে, শুক্রবার থেকেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকার প্রয়োগ আবার সেখানে শুরু করা হবে। তবে এই টিকার প্রয়োগ বন্ধ ঘোষণা করা অন্য দেশগুলো এ ব্যাপারে এখনো কিছু জানায়নি। নিয়মানুযায়ী, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার প্রয়োগ ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত প্রতিটি দেশের নিজস্ব বিষয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর আগেই ঘোষণা দিয়েছিল যে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা কার্যকর ও নিরাপদ। আর অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এরই মধ্যে তাদের তৈরি করোনার টিকা গ্রহণ করেছে। আর রক্ত জমাট বাঁধার যেসব ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে, সেটি সংখ্যায় শতাধিকের কম। এটি মোট জনসংখ্যার তুলনায় স্বাভাবিক।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com